
অনলাইন ডেস্কঃ
গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন বিতর্কের কারণে কিছুটা আড়ালে চলে যান ফাহিম। যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি সক্রিয় ছিলেন। এই সময়ে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বিভিন্ন গুঞ্জন ছড়ায়। সবকিছু ছাপিয়ে এবার তার দেশ ছাড়ার খবর নিশ্চিত হলো।
ফাহিমের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ঘেঁটে তার দেশ ত্যাগের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ১৯ ঘণ্টা আগে পোস্ট করা একটি ছবিতে তিনি লিখেছেন,
জীবনে চলার পথে কেউ কষ্ট দেবে, কেউ বেইমানি করবে, কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করবে, ভালোবাসার নামে অভিনয় করবে, বন্ধুত্বের নামে ব্যবহার করবে — হ্যাঁ, এটাই নিয়ম। যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন, তত ভালো থাকতে পারবেন।
পোস্টের সঙ্গে ছিল একটি ভালোবাসার ইমোজি, যা আরও আবেগঘন করেছে তার বার্তাটি।
তবে সবচেয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে তার স্টোরিগুলোতে। ২৭টি স্টোরিতে দেখা যায়, প্রথমে সন্তানকে আদর করছেন ফাহিম। এরপর স্ত্রী মানজিয়া ও সন্তানসহ গাড়িতে তোলা একটি ছবিতে তিনি লেখেন, আমি আপনাদের মিস করব।
একটি ভিডিওতে বিমানবন্দরে পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে বিদায় নিতে দেখা যায় তাকে। সেখানে ক্যাপশনে উল্লেখ করেন, যথাসম্ভব সবার সঙ্গে এটাই আমার শেষ দেখা।
পরে বিমানে ওঠার এবং মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর মুহূর্তগুলোও স্টোরিতে শেয়ার করেছেন তিনি। নতুন দেশে নিজের গাড়ি চালানো ও নতুন বাসায় রাতের শুভেচ্ছা জানানোর ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে নতুন জীবনের সূচনার আভাস দেন ফাহিম।
উল্লেখ্য, আরএস ফাহিমের জন্ম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে, ১৯৯৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। বেড়ে উঠেছেন ঢাকার মোহাম্মদপুরে। সাইকেল স্টান্ট ভিডিও দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, ২০১৫ সালে ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় বাইকার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন।
ফাহিমের এই হঠাৎ দেশ ছাড়ার ঘটনায় তার অনুরাগী ও নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই তার ভবিষ্যত জীবন ও ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে তিনি মালয়েশিয়া থেকেই কি নতুন কোনো কনটেন্ট তৈরি করবেন, নাকি সম্পূর্ণ নতুন কোনো পেশায় যুক্ত হবেন এ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন ও কৌতূহল।