
লেখকঃ রিয়াজুল ইসলাম
বি এস সি অনার্স, গনিত
সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ, যশোর।
আর এ ধুর,
ওই সব পরীক্ষার পড়াশুনা,
ও আমাগের লাগে নাহ।
আমরা দিন রাত খেলা করি,
মনের সুখে ঘুরি ফিরি।
আমাগের পরানের ভিটায়,
কোনো ভয় ডর জাগে না।
তাইতি ওই পরীক্ষার পড়াশুনা,
ও আমাগের লাগে নাহ।
তা কথা হইলো কি?
আয় রোজগার তো বন্ধ,
ম্যানেজারের টাকা দেব কিদে?
এমন তো নাহ বই পড়লে,
পেটে লাগে না খিদে।
এক মাস খাওয়া পচিশ-শো টাকা।
তো বাপু বই পড়ব?
নাহ ভাত খাবো?
কোন কামডা আগে?
কোন রকম বই পড়ি,
আর পড়ার ইচ্ছা জাগে না।
তাইতি ওই পরীক্ষার পড়াশুনা,
ও আমাগের লাগে নাহ।
তাও তো আাবার,
চিন্তায় চিন্তায় ঘুম আসে না।
রাত পোহালে পরীক্ষা,
আর তোমরা মিঞা লাফাচ্ছো,
দেশে আইছে ফিফা।
বাহ!বাবা!বাহ!
আরেহ দেশে তে কত কি আইলো,
কিডা পাইলো আর কিডা খাইলো?
গরীবের রিলিফ আইলো,
চুল বান্ধা কিলিফ আইলো,
তারপর ওই গঙ্গা,তিস্তা নদী আইলো,
বিপাশা পশু, কি কয় বসু আইলো,
কুরবানীর পশু আইলো,
মেসি আইলো,জিদান আইলো,
আইলো শাহরুখ খান।
আামাগের কপালে তো ওই,
সুরভী জর্দা দিয়ে একটা পান।
আমরা ভাই গরিব মানুষ,
এই রোহিজ্ঞাদের মধ্যে আছি,
জিনিস পাত্রের দাম যা হোক,
চাড্ডে খেয়ে পরে বাঁচি।
আর ওই অসুখ বিসুখ,
তো লাগেই থাকে,
পোষ কিংবা মাঘে না।
তাইতি ওই পরীক্ষার পড়াশুনা,
ও আমাগের লাগে নাহ।
আর ওই বই?
আরেহ! বই তো আমরা বানায়,
ওই সব পড়া আমাগের কি মানায়?
এহ!এহ! এহ! এহ! এহ!
মিঞা আর কয়দিন পরে দেখবা,
ওই পুরান ঢাকার চকে,
বই আর খাতা নিয়ে উড়ে যাচ্ছে,
কাক,চিল আর বকে।
আগারগাঁও, খিলগাঁও কিংবা কারওান বাজার,
বই আর খাতা মিলবে,
শত শত হাজারে।
হা !হা !হা !হা! হা!
আর আমাগের দেশের,
পড়াশুনার তো,
নিজের অবস্থায় টাইট।
সকাল সন্ধ্যা চোর, বাটপার,
এর সাথে করা লাগে ফাইট।
আর ওই রাস্তাঘাটে যে ঠাসাঠাসি,
আর ফেরিঘাটে যে ভীড়,
তাতে পড়াশুনা ভেটকায়ে,
হয়ে গেছে ক্ষীর।
হি! হি !হি! হি! হি!
আচ্ছা। না পড়ে,
পরীক্ষায় পাশ করা যায়,
এমন কোন উপায় কিহ আছে?
ওই উপায় টা দেখার জন্য,
আমার পরানের মধ্যে শুধু নাচে।
আছে? আছে? আছে?
উপায় আছে? উপায় আছে?