
মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ যশোরের মণিরামপুর পৌরশহরের ১নং হাকোবা ওয়ার্ডের যুবক মোঃ মিন্টু হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার ঘঠনায় একই গ্রামের জৈনক পাবনার ছেলে ছোট সাব্বির ও বারিক সরদারের ছেলে ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে মণিরামপুর থানা পুলিশ। তবে এঘঠনায় প্রধান হোতা মামলার ১নং আসামী হাকোবা গ্রামের জৈনক সাদেক হালদারের ছেলে মোঃ সাব্বির হালদার এখনো পলাতক থাকায় নিহতের পরিবারের সাথে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে ছুটে যান মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন,উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু সহ পৌর ও উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
থানা প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়ে নিহতের পরিবারকে সাথে নিয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ হত্যার মামলার প্রধান আসামী মোঃ সাব্বির হালদারকে(বড় সাব্বির) আগামি ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন।
তথ্যমতে,হাকোবা গ্রামের মোঃ হাফিজুর রহমানের ছেলে নিহত ভ্যান চালক মিন্টুর কাছে হাকোবা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আ’লীগ নেতা মোঃ আজিম হোসেনের পাওনা ৫ হাজার টাকা এ হত্যার নেপথ্যের কারন বলে জানা গেছে। গোপন তথ্যমতে,এদিকে সরেজমিনের ফুটেজ অনুযায়ী নিহতের লাশকে পুজি করে এ ঘঠনায় ভুক্তভোগী পরিবারকে উস্কানি দিয়ে বিএনপির মানক্ষুন্য করতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পায়তারা করছে স্থানীয় বড় রাজনৈতিক দলের একাংশের একটি কুচক্রী মহল।
নিহত মিন্টুর ছোট ভাই আহত পিকুলের জবানবন্দি ও স্থানীয়দের তথ্যমতে , সাবেক কাউন্সিলর মোঃ আজিম হোসেন একই এলাকার হাফিজুর রহমানের ছেলে ভ্যানচালক নিহত মিন্টুর কাছে দোকানঘর নেওয়া বাবদ ৫ হাজার টাকা পাওনা ছিলো। পলাতক থাকায় ঘঠনার দিন আজিম হোসেন মুঠোফোনে কথিত বিএনপি কর্মী এ মামলার ১নং আসামী সাব্বির হালদারকে দায়ভার দিলে সাব্বির(বড়) মিন্টুর দোকান ঘরে যে টাকা চাইলে একদুই কথায় মিন্টুর অপর দুই ভাই সেন্টু ও পিকুলের সাথে বাকবিতন্ডা হলে সাব্বির(বড়) মোটরসাইকেল রেখে বাজারের দিকে চলে আসে।
পরক্ষনে বড় সাব্বির,ফারুক,ছোট সাব্বির,সিয়াম সহ কয়েকজন যুবক মিন্টুর দোকানে এসে ৩ ভাইয়ের উপর চাইনিজ কুড়াল ও জিআই পাইপ সহকারে হামলা করে। এক পর্যায়ে চাইনিজ কুড়ালের এলোপাতাড়ি আঘাতে মিন্টু মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বাকি ২ ভাইকেও মারদর করে আসামিরা পালিয়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর মিন্টুকে মৃত ঘোষনা করে ডাক্তার।মিন্টুর জমজ ভাই সেন্টু এখনো আশংকাজনক অবস্থায় আছে। সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরে মৃত বড় ভাইয়ের ২ সন্তানকে নিয়ে ভাই হত্যার বিচার দাবি করে সাংবাদিকদের সামনে কান্নায় ভেংগে পড়ে আহত ছোট ভাই পিকুল হোসেন।
হত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক সাব্বির দলগতভাবে বিএনপির কর্মী হলেও এ বেপারে কোন ছাড় নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন। নিহত মিন্টুর বাড়িতে অবস্থানরত এক স্বাক্ষাতকারে তিনি আরো বলেন,অপরাধী কোন দলের না।হোতা সাব্বিরের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পোস মোর্ডাম শেষে মৃতদেহের জানাজার নামাজের আয়োজন চলছিলো।এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া তথ্য মোতাবেক,বারিকের ছেলে ফারুক ও পাবনার ছেলে ছোট সাব্বিরকে গ্রেফতার করেছে মণিরামপুর থানা পুলিশ এ মর্মে তথ্য নিশ্চিত করেছেন মণিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ বাবলুর রহমান খান।
প্রধান আসামি সাদেক হালদারের ছেলে বড় সাব্বির সহ বাকিদের গ্রেফতারের অভিযান চলমান আছে বলে জানিয়েছেন সহকারি পুলিশ সুপার(মণিরামপুর সার্কেল) এএসপি ইমদাদুল হক।