
এস এম তাজাম্মুল,মণিরামপুরঃ ইতিপূর্বে যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইতিবাচক/নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশে দেখা গেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান নিয়ে সেবা গ্রহীতারা অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেট থেকে শুরু করে জরুরী বিভাগ,বহির্বিভাগ, পুরুষ-নারী-শিশু ওয়ার্ড,ফার্মেসী,আল্ট্রা/প্যাথলজী বিভাগ সহ অধিকাংশ সেবাদান ইউনিটের ব্যাবহার এবং সেবাদানের বিরুদ্ধে অন্তহীন অভিযোগের চিত্রের অন্তরালে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের প্রতি সেবা গ্রহীতাদের শতভাগ আস্থার লুকায়িত গল্প উঠে এসেছে চলমান অনুসন্ধানের আজকের এই শেষ প্রতিবেদনে।
আস্থার সেই গল্পের শুরতে নারীর অবস্থান নিয়ে নির্নিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের সোনালী যুগে মুক্তি প্রাপ্ত সাড়াজাগানো সিনেমা “মিস ডায়না” র ভূমিকায় দেখা যায়,অবহেলিত শিশু-নারীদের রক্ষক ও আস্থার স্থল ছিলেন মিস ডায়না।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতি যে সেবার মানে ভুক্তভোগী সহ উপজেলা বাসীর প্রসংশার শতভাগ গর্ভবতী নারীদের সেবার মান নিয়ে। শতভাগ আস্থার পুরোটাই অর্জন মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডাঃ দিলরুবা ফেরদৌস ডায়না’র।
অনুসন্ধানের চিত্র বলছে,শুধু রোগী বা সেবাগ্রহীতার কাছে না! ৩৩ তম বিসিএস ব্যাচের ডাঃ দিলরুবা ফেরদৌস ডায়নার প্রতি শ্রদ্ধা,ভালোবাসা ও আস্থা প্রকাশ করেছেন তার সহপাঠি,সহকর্মী,কর্মরত প্রতিষ্ঠানের ২য়/৩য় শ্রেনীর কর্মচারী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
২০২২ইং সালের ডিসেম্বর মাসে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান হতে আজ পর্যন্ত তার ত্রুটিমুক্ত সেবাদানের জন্য কুড়িয়েছেন প্রশংসা,পেয়েছেন পুরষ্কার। সরকারি ভাবে চালু করা দেশের প্রথম ও সফল বৈকালিক চেম্বারে জরুরী সিজারিয়ান অপারেশনটি সম্পন্ন হয়েছিলো ডাঃ দিলরুবা ফেরদৌস ডায়না’র হাতে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যে অপারেশনে প্রাণ বাঁচায়ছিলো প্রসূতি ও নবজাতকের।
তথ্য মোতাবেক,স্বাস্থ্য বিভাগের বৈকালিক সেবা চালুর পরপরই ৪ই এপ্রিল বিকালে প্রসববেদনায় মণিরামপুর উপজেলার মাহমুদকাঠি গ্রামের উম্মে হাবিবা নামের একজন প্রসূতির জরুরি ভিত্তিতে ডাঃ ডায়নার অপারেশন প্রসূতি ও নবজাতকের প্রাণ রক্ষা করে। সেবার মান ও ডাক্তার ডায়নার আন্তরিকতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পরবর্তীতে উম্মে হাবিবা ও তার স্বজনেরা আবেগ আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন।
প্রসবপূর্ব যত্ন,পরিবার পরিকল্পনা ও জন্মনিয়ন্ত্রন এবং গাইনি ও প্রসূতি বিদ্যা বিষয়ক সেবায় নিজেকে একনিষ্ঠ ভাবে এতটায় নিয়োজিত রেখেছেন যে, ডাঃ দিলরুবা ফেরদৌস ডায়নার কয়েকজন সহপাঠি ও মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত সাবেক পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ তন্ময় বিশ্বাস নিজেই জানান ডাঃ ডায়নার অস্ত্রোপচারের হাত খুবই নিখুঁত।
ডাঃ ডায়নার কাছ থেকে সেবা নেওয়া এক নারী রুবিনা ইসলাম রুমি জানান,আমার অপারেশন করেছিলেন উনি(ডাঃ ডায়না),উনি একজন ভালো ডাক্তার। রুমির মতো অসংখ্য সেবা গ্রহীতারা বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ করেছেন ডাঃ ডায়নার ব্যাবহার,সেবার সন্তোষ জনক কথা।
এ বিষয়ে ডা. দিলরুবা ফেরদৌস বলেন,প্রসূতির সংকটাপন্ন সময়ে জরুরিভাবে সিজারিয়ান অপারেশন না করা হলে মা ও নবজাতকের খারাপ কিছু হতে পারে। সৃষ্টিকর্তার পর ডাক্তারকে সবাই আস্থার স্থল জানে। মানুষকে যতদিন সেবা দিতে পারবো সেটাই আমার অর্জন বলে মনে করি। কেউ সয়ং-সম্পূর্ন না,কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকবে। শতভাগ কিনা জানিনা তবুও সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করি।
এ বিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ ফয়েজ আহম্মেদ ফয়সাল মুঠোফোনে জানান, এ অর্জনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য।অভিঙ্গতার আলোকে আমার চোখে দেখা ডাঃ দিলরুবা ফেরদৌস ডায়নার কোন জুড়ি নেই। তার মতো একজন গাইনি চিকিৎসক মণিরামপুর উপজেলার জন্য একটি সৌভাগ্যের।