
এস এম তাজাম্মুল,মণিরামপুরঃ যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণবাটি গ্রামে তৃপ্তি রানী (৪০) নামের সনাতনী ধর্মের এক নারীকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার পরপরই প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে নিহতের দীর্ঘদিনের পরকিয়া প্রেমিক একই এলাকার শংকর মল্লিক (৫০) সহ ৩ জনের একটি সংগবদ্ধ চক্র। তৃপ্তী রানী উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের অবনিশ মল্লিকের স্ত্রী।
তথ্য মোতাবেক, হত্যার স্বীকার নারী সহ দুই জনে পশুখাদ্য ঘাস সংগ্রহ করে আসার সময় পথে(মাঠের ভিতর) তাদের অপেক্ষায় বসে থাকে মৃত্যু মহিলার প্রেমিক হত্যাকারী ( শংকর মল্লিক) ও ২/৩জন যার সাথে দীর্ঘদিন অবৈধ সম্পর্ক ছিলো ঐ মহিলার।
অনুসন্ধান বলছে, হত্যাকারী শংকর মল্লিকের সাথে সম্পর্ক থাকা কালিন বিভিন্ন সময় মৃত মহিলা প্রায় ৫ লাখের উপরে টাকা নিয়েছে। হঠাৎ সম্পর্কের অবনতির ঘঠলে শংকর মল্লিক তার দেওয়ার টাকা ফেরত চাইলে মৃত্যু মহিলার সাথে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। ইতিপূর্বে তাদের এসব বিষয় নিয়ে ঝামেলার কথা এলাকাবাসিও জানতো। পরিচয় গোপনকারী এক যুবকের ভাষ্যমতে,কয়েকদিন আগে শংকর নতুন দা বানিয়ে রেখেছিলো তৃপ্তি রানীকে হত্যা করবে বলে! যে অস্ত্র (দা) ব্যাবহার করেছে খুনী সেটা হত্যার স্বীকার মহিলা নিজেও জানতো।
ঘঠনার দিন দুপুর ১টার পরপরই শংকর মল্লিক সহ ২/৩জন ওই মহিলার হত্যার করার উদেশ্য তাদের অপেক্ষায় মাঠের মধ্যে অবস্থান করে এবং তারা শংকর মল্লিক এর নিকট আসলে তিনি হার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মহিলাকে ৮/১০ টা এলোপাতাড়ি কোপ দেই।
খুনী যখন দেখে অবস্থা ভালো না এবং দূরে থাকা অনেক মানুষ তাদের দিকে তাকাতাকি করছে তখন তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা ধরাধরি করে হাসপাতালে নেই।পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর হতে ঢাকা নেওয়ার পথে ঐ নারীর মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘঠনার পর থেকে খুনী শংকর মল্লিক ও বাকিরা গা ঢাকা দেওয়ায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি তবে হত্যাকারিকে গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে বলে জানিয়েছেন মণিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ বাবলুর রহমান খান।