
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
যশোরের ছেলে আবু হানজালা রহমান মুন্নার টিমের তৈরী বাংলাদেশি রকেট ‘বিদ্রোহী’ মহাকাশ জয়ের অপেক্ষায়। ওই টিমে রয়েছে যশোরের ছেলে হানজালা। বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে দেশীয় স্টার্টআপ ‘ধুমকেতু এক্স’ এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছে দেশের প্রথম সাব-অর্বিটাল রকেট ‘বিদ্রোহী’। যা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত। এই রকেট তৈরির পেছনে অন্যতম নেতৃত্বে ছিলেন যশোর সদরের মটবাড়ি গ্রামের আমিনুর রহমান মিন্টুর ছেলে উদ্যমী তরুণ মোঃ আবু হানজালা রহমান মুন্না। সে বর্তমানে ধুমকেতু এক্স-এর ‘হেড অব ম্যানেজমেন্ট’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া দেশ-বিদেশ থেকে ৫০ জনেরও অধিক উদ্ভাবক কাজ করছে এই প্রজেক্টে।
রকেটটির নামকরণ করা হয়েছে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর কবিতা ‘বিদ্রোহী’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। কাজী নজরুল ইসলামের বাণী যেমন ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী চেতনার প্রতীক, তেমনি এই রকেট হয়ে উঠেছে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতিচ্ছবি। যেখানে বিদ্রোহ মানে সীমাবদ্ধতা ভেঙে সামনে এগিয়ে যাওয়া। ধুমকেতু এক্স-এর লক্ষ্য শুধুই মহাকাশে রকেট পাঠানো নয়, বরং দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণায় নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে তোলা। এই রকেট সাব-অর্বিটাল লেভেলে টেস্টিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও উচ্চতর পর্যায়ের রকেট উন্নয়নের পরিকল্পনাও রয়েছে।
চলতি বছরের ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রæয়ারীতে সিঙ্গাপুরের অনুষ্ঠিত একটি কর্মশালায় বাংলাদেশের রকেট সেক্টরের প্রতিনিধিত্ব করারও সুযোগ পান মোঃ আবু হানজালা রহমান মুন্না । এছাড়া সে বিএনসিসির একজন সাবেক ক্যাডেট, বাংলাদেশ রোভার স্কাউটস-এর সদস্য, এবং ময়মনসিংহের জনপ্রিয় বিজ্ঞান ক্লাব ‘দ্য ইনভেন্টর স্কুল’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। তিনি এমইসি সাইক্লিং ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে সুপরিচিত। তার নেতৃত্ব, বিজ্ঞানচর্চা এবং যুব উন্নয়নের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি আজ একজন সম্ভাবনাময় তরুণ হিসাবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করছেন।
উদ্যোক্তা আবু হানজালা রহমান মুন্না বলেন, “বিদ্রোহী’’ কেবল একটি রকেট নয়, এটি আমাদের স্বপ্ন, আত্মবিশ্বাস এবং নানা প্রতিবন্ধকতা মাড়িয়ে সামনে এগিয়ে আজ আমরা এই অবস্থানে পৌছেছি। ধুমকেতু এক্স ইতোমধ্যে এটুআই প্রকল্পের অধীনে ‘রকেটরি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২ এ বিজয়ী হয়ে ৫০লাখ টাকা সিডমানি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে প্রযুক্তি, বিজ্ঞান এবং দেশপ্রেম যখন একসঙ্গে জাগ্রত হয়, তখনই সম্ভব হয় ‘বিদ্রোহী’-র মতো বৈপ্লবিক উদ্ভাবন বলেও জানান আবু হানজালা রহমান মুন্না।