
মোঃমাহমুদুল হাসান
বৃদ্ধ কিংবা যুবক নারী বা পুরুষ সবার হাতে রয়েছে স্মার্ট ফোন। গ্লোবাল ডেটা ফার্ম স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৪৭ লাখ। মোট ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দশম।বর্তমানে এই সংখ্যা বেড়েছে আরও।মুহুর্তের মধ্যে সব খবর,বিনোদন সহ সবকিছু রয়েছে এই প্লাটফর্মে। যারা এই মাধ্যম গুলো ব্যাবহার করছে তাদের কে কি শর্ত সাপেক্ষ দেওয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।সেজন্যই বর্তমান যুবকদের একমাত্র লক্ষ্য উদ্দেশ্য হলো কন্টেন্ট ক্রিয়েটার বা ব্লাগার হওয়া।লেখা পড়ায় মন না দিয়েই চেষ্টা চালাচ্চে কিভাবে ভাল কন্টেন্ট তৈরী করা যায়। কেনোই বা হবে অল্প পরিশ্রম আর ভাইরাল হতে পারলেই মাসে মাসে আয় হচ্ছে শত শত ডলার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কারা করছে এই কন্টেন্ট ক্রিয়েট?? যারা এলাকায় বখাটে, অশ্লীল, অসামাজিক তারা বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও তৈরী করে বনে যাচ্ছে সেলিব্রিটিতে।যেখান থেকে আমাদের আগামীর প্রজন্ম শিখছে অনৈতিকতা,অশ্লীল সাংস্কৃতি,অসামাজিক কার্যকালপ। হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে আমাদের গোটা শিক্ষা ব্যাবস্থা। আমরা সবসময় নেগেটিভ বিষয় গুলো বেশী আগ্রহ করে গ্রহণ করি। গ্রামের এই বিষয় টা বেশী ছড়িয়েছে। কয়েকজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটার বিনোদন দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অসামাজিক ডায়ালগ ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি তে ছেয়ে গেছে সোস্যাল মিডিয়া।কাউকে ছোট করার জন্য না, একজন কাউকে ছোট করার জন্য না, শুধু বোঝার জন্য, পোস্ট টা করা একজন ফুড ব্লগারের মাসিক ইনকাম ১০ লাখ টাকা! হিরো আলমের বাৎসরিক ইনকাম কোটি টাকা! জীবনে স্কুলে না যাওয়া অপু ভাই নামের এক টিকটকারকে বাংলাদেশ থেকে দুবাই নিয়ে যায়, কোটি টাকার গাড়ি দিয়ে বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করে শোরুম উদ্ভোদন করার জন্য! যেখানে একজন ডিসেন্ট গুগল, মাইক্রোসফটের ইঞ্জিনিয়ারও মাসে ১০ লাখ টাকা পায় না! ঢাকা মেডিকেলে পড়া ডাক্তাররা মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে রাস্তায় পুলিশের মাইর খায়! বুয়েট থেকে পাশ করা ছেলেটাও শুরুতে ৫০ হাজার টাকা বেতনের একটা জব পায় না! সেখানে এই তথাকথিত কন্টেট ক্রিয়েটার রা ইনকাম করছে লাখ লাখ টাকা।বর্তমান সমাজ ও বিশ্ব-ব্যবস্থায় পড়ালেখা, জ্ঞান অর্জন বর্তমান সময়ে অলাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলল মনে করছে বর্তমান যুব সমাজ। আমার বিশ্বাস করতে শুরু করেছি আগামীর দিনগুলোতে আমাদের ছেলে মেয়েরা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী হওয়ার পরিবর্তে এমন কন্টেন্ট ক্রিয়েটার হবে!
অবশ্য কন্টেন্ট ক্রিয়েটের মাধ্যমে টাকা উপার্জন কে ছোট করছি না।আমরা ভাবছি টাকার জন্য আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শেখাচ্ছে অশ্লীলতা অসামাজিকতা। আমরা সকলে সচেতন হয়ে এগুলো পরিহার করি এবং সচেতন মূলক সামাজিক ভিডিও তৈরী করি তাহলে হয়ত আমাদের সমাজ তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পরিবর্তন হতে বাধ্য
2 Comments
খুবই গঠনশীল ও পরিমার্জিত উপস্থাপনা।।
Thank you.Stay Us