
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
দৈনিক গ্রামের কাগজের রাজগঞ্জ খেদাপাড়া প্রতিনিধি এরশাদ আলী আর নেই। গতকাল রাত আড়াইটার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
সাংবাদিকতা, সাংস্কৃতি ও সমাজসেবায় সক্রিয় এই মানুষটির মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এরশাদ আলী যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হেলাঞ্চী গ্রামের বাসিন্দা। রাজগঞ্জ বাজারের দীর্ঘদিনের পরিচিত ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠান “স্টুডিও মৌ”-এর তিনি স্বত্বাধিকারী। “দৈনিক গ্রামের কাগজ”-এর খেদাপাড়া প্রতিনিধি হিসেবে পত্রিকার শুরু থেকেই তিনি কাজ করে আসছিলেন। সাংবাদিক মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) গভীর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে মনিরামপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি হৃদরোগ, দীর্ঘদিনের শ্বাসকষ্ট ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। গত কয়েক মাস ধরে তিনি অসুস্থতায় ভুগছিলেন এবং শারীরিক দুর্বলতা দিন দিন বেড়েই চলেছিল।
সাংবাদিক এরশাদ আলীর মৃত্যুতে শুধু তাঁর পরিবার নয়, পুরো হেলাঞ্চী ও রাজগঞ্জ এলাকা শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে। মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই তাঁর বাড়িতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, সহকর্মী সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সমাজসেবক এবং শুভানুধ্যায়ীরা ভিড় করেন। তাঁরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
স্থানীয় সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়—এরশাদ আলী ছিলেন একজন সৎ, সাহসী এবং দায়বদ্ধ সাংবাদিক। পেশাগত জীবনে তিনি কখনো আপোস করেননি। ছোট একটি বাজারে থেকেও তিনি সাংবাদিকতার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশাকে সম্মানের সাথে ধরে রেখেছেন। পাশাপাশি স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও তাঁর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
তাঁর মৃত্যুতে দৈনিক গ্রামের কাগজ পরিবার, রাজগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, হেলাঞ্চী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সমাজকর্মীসহ নানা সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, এক মেয়ে, নাতি-নাতনি ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাংবাদিক এরশাদ আলীর মতো একজন সদালাপী, নীতিবান এবং সমাজসচেতন মানুষের মৃত্যুতে যে শূন্যতা তৈরি হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়—এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।