নিজস্ব প্রতিনিধিঃশিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঐক্য-বন্ধন এর সচেতনমূলক কার্যক্রমের আওতায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের থেকে প্লাস্টিকের বর্জ্য নিয়ে চারা উপহার দিয়ে যাচ্ছেন।যশোর জেলায় বিভিন্ন অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর হাতে ফলদ, বনজ ও ঔষধিসহ নানা প্রজাতির ২০০ টি গাছ তুলে দিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যরা। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সামাজিক বনায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
ঐক্য-বন্ধনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রনি হোসেন বলেন, বর্তমান দেশের তাপমাত্রা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনজীবন ও জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে।বন উজাড় ও নানা অজুহাতে নির্বিচারে গাছপালা কেটে ফেলায় বাড়ছে এই তাপমাত্রা। গাছ কেটে ফেললেও আমরা নতুন করে চারা রোপনে উদ্যোগী হচ্ছি না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা পারভীন বলেন ঐক্য -বন্ধন যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা সত্যি ব্যাতিক্রমি।এমন উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায় না।আমরা তাদের সাফল্য কামনা করি।
ঐক্য-বন্ধনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল হাসান আরও জানান , বাজারের নানা পণ্য ব্যবহারের ফলে আমাদের বসত বাড়ির আশপাশে প্লাস্টিকের বোতল ও প্লাস্টিকের মোড়ক জমে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমরা চেয়েছি শিশুরা বাড়ির আশপাশ থেকে এসব বর্জ্য কুড়িয়ে এনে আমাদের কাছে জমা দিয়ে বিনিময়ে গাছ উপহার নিক। আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডার গার্ডেনের ছাত্র-ছাত্রীদের গাছ উপহার দিয়ে শিশু বয়স থেকে তাদের গাছ লাগানোর চর্চা ও ভাল কাজে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করাতে। আমরা চাইলে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ করতে পারতাম। সেটা না করে পরিবেশ রক্ষার্থে প্লাস্টিকের বর্জ্য গ্রহণ করে আমরা তাদেরকে চারা দিয়েছে। আজ রোহিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, হরিতকি, নিম, মেহগনি, আকাশমনি ও বিভিন্ন রকমের ফুলের চারাসহ মোট ২০০টি চারা দিয়েছি। ধীরে ধীরে জেলার অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
ঐক্য-বন্ধনের সহ অর্থ-সম্পাদক রায়হান হোসেন বলেন, আমরা আগে থেকে শিক্ষার্থীদের বলে দিয়েছিলাম বাড়িতে বা আশপাশে জমে থাকা প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট নিয়ে আসার জন্য। গতকাল শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে ৬ বস্তা প্লাস্টিকের বর্জ্য দিয়েছে। বাড়িতে ধান সিদ্ধ করার কাজে এই বর্জ্য ব্যবহার করা হবে।
পলাশী রাজবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভি হোসেন বলেন, আমরা বইয়ে পড়েছি বাগান করতে হবে। কিন্তু কখনও গাছ নিজ হাতে লাগায়নি। এবার নিজ হাতে গাছ লাগাবো। গাছের পরিচর্চা করব।
সম্পাদক ও প্রকাশক কতৃক প্রকাশিত
ইমেইল: dailybondhonnews@gmail.com
মোবাইল : 01778268901
Copyright © 2025 দৈনিক বন্ধন. All rights reserved.