নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ১ নম্বর রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক রনজিত কুমার দাশের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন পরিষদের ইউপি সদস্যরা। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সরজমিনে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত হয়।
প্রশাসক রনজিত কুমার দাশ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি যোগদান করেছি প্রায় দুই মাস হলো। এ সময়ের মধ্যে জন্মনিবন্ধন, মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ ও নাগরিক সনদসহ মৌলিক সেবাসমূহ নিয়মিত দিয়েছি। তবে উন্নয়নমূলক কোনো কাজ এখনো হাতে নেওয়া হয়নি। আমার প্রতি অনাস্থার কারণ আমি বুঝতে পারছি না। শুনেছি, আমাকে বাদ দিয়েই মিটিং করা হচ্ছে। দুই-একজন সদস্য মিলে এই পরিস্থিতি তৈরি করছেন।”এছাড়া তিনি আরো বলেন, আমি শুনেছি সচিব ইউপি সদস্যদের দিয়ে এই অনাস্থা জানিয়েছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, “উক্ত ইউনিয়নের সচিব কৃষ্ণ গোপাল মুখার্জীর সঙ্গে আমার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। আমার রুমের পরিবেশ অগোছালো, অথচ সচিবের রুম বেশ চাকচিক্যময়। এতে পরিষদের পরিবেশ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।”
অন্যদিকে সচিব কৃষ্ণ গোপাল মুখার্জী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ক্যামেরার সামনে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি অফ রেকর্ড ব্যক্তিগত ভাবে জানান, “প্রশাসক রনজিত কুমার দাশ আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তার আদেশ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদে কোনো কাজ হয় না। আমার রুমের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আমার ব্যক্তিগত রুচির ব্যাপার। আগের চেয়ারম্যানরাও প্রশাসক স্যারের ওই রুম ব্যবহার করেছেন। প্রশাসক স্যার চাইলে তার রুমও সুন্দরভাবে সাজাতে পারেন, তাতে পরিষদের পরিবেশ আরও উন্নত হবে।ইউপি সদস্যরা ক্যানো অনাস্থা জানিয়েছে আমি বলতে পারব না এটা তাদের ব্যাপার তারা কি করবে। আমি এখানে চাকুরী করি যে প্রশাসক আসবে তাকে সহযোগিতা করাই আমার কাজ ।আমার প্রশাসক স্যারের সাথে কোন খারাপ সম্পর্ক নেই।"
ইউপি সদস্য মো. বিলালী হোসেনও সরাসরি বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, “আমরা সকল ইউপি সদস্য মিলে প্রশাসকের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছি।” অনাস্থার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সংক্ষেপে বলেন, “সবাই মিলে আলোচনা করে পরে জানানো হবে।”
স্থানীয় সূত্র জানায়, ইউনিয়ন পরিষদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও সমন্বয়ের অভাব এ পরিস্থিতির পেছনে বড় কারণ হতে পারে। এ ঘটনায় ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ পাওয়া প্রশাসকরা সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদের দৈনন্দিন কাজ ও উন্নয়ন তদারকির দায়িত্ব পালন করেন। তবে সদস্যদের অনাস্থার কারণে রোহিতা ইউনিয়নের কার্যক্রম নতুন জটিলতায় পড়তে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশক কতৃক প্রকাশিত
ইমেইল: dailybondhonnews@gmail.com
মোবাইল : 01778268901
Copyright © 2025 দৈনিক বন্ধন. All rights reserved.