নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৯৪৬ সালের ১৬ ই নভেম্বর যশোরে জন্মগ্রহণ করেন।১৯৬১ সালে যশোর জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশ করে মাইকেল মধুসূদন কলেজএ ভর্তি হন। ১৯৬৩ সালে আইএ, ১৯৬৮ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্র থাকা কালীন অবস্থায় সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের জরাজীর্ণ শহীদ মিনার মেরামত করলে তৎকালীন সামরিক সরকার তাকে গ্রেফতার করে কারাবন্দী করেন।
আইএ পড়া অবস্থায় তিনি ছাত্র ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৬৮ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় ৯ মাস যশোর ও রাজশাহীতে কারাভোগ করেন।
উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় আবারও কারাবরণ করতে হয়। ১৯৭০ সালে আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দান করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি থেকে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল পরে জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন। বিএনপির প্রথম আহ্বায়ক কমিটির ৭৬ সদস্যের অন্যতম সদস্য তিনি।
যশোর জেলা জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক হিসবে দায়িত্বপালন করেন।এছাড়াও তিনি বিএনপির যুগ্মমহাসচিব, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০০৯ সালের পঞ্চম কাউন্সিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে বিলুপ্ত যশোর-৯ আসন থেকে প্রথম বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।এর পর ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের সময় তিনি সমাজকল্যাণ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট সরকারের সময় তিনি প্রথমে তথ্য ও পরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
তরিকুল ও স্ত্রী নার্গিস ইসলামের দাম্পত্যজীবনে দুটি সন্তান। বড় ছেলে শান্তনু ইসলাম সুমিত দৈনিক লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন ও কনিষ্ঠ পুত্র অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তরিকুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৪ ই নভেম্বর ঢাকার এপোলো হাসপাতালে ৫.০৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি কিডনি, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তার মৃত্যুতে যেন দেশের রাজনীতিতে এক অপূরনীয় ক্ষতি হয়।

