মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ স্বামী প্রবাসে ছিলেন,নিজের ছেলেকেও পাঠিয়েছেন বিদেশে।বাড়িতে মেয়ের বিয়ের তোড়জোড় চলছে,অর্থ-সম্পদের নাই কোনো সংকট! তবুও দীর্ঘদিন যাবত জ্বর-স্বাষকষ্টে ভুগে অবশেষে হাসপাতালের চিকিৎসকের তত্বাবধানে প্রাথমিক চিকিৎসারত অবস্থায় মোছাঃ সেলিনা খাতুন(৩৬) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত নারী মণিরামপুর উপজেলার মাহমুদকাঠি গ্রামের বেকারী ব্যাবসায়ী মোঃ কামালের স্ত্রী।
রোগী জরুরী বিভাগে আসা মুহূর্তেই ভর্তির সময়ে অবস্থা অনেক খারাপ ছিলো এই মর্মে চলতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক (আরএমও) অনুপ বসু,আর রোগীর বড় ভাই দাবী করছেন অনকেদিন যাবত তার বোন জ্বরে পড়েছিলেন,গ্রামের এক পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শে চলতি ১৮-২০দিন ধরে ঔষধ সেবন করে আসছিলেন।
তথ্যমতে,রোগীর ভাই সহ কয়েকজন মঙ্গলবার ২৮শে অক্টোবর বেলা ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেলিনা খাতুন’কে (৩৬) শরীরে জ্বর ও শাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে আসে।জরুরী বিভাগ হতে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা (কর্টসন) দিয়ে মহিলা ওয়ার্ডে প্রেরন করলে রোগীর হাতে কেনালা যুক্ত করার পূর্বে গৃহবধূর মৃত্যু হয় বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
উপস্থিত মৃত সেলিনা খাতুনের বড় ভাই জানান,১৮-২০দিন যাবত আমার বোন অসুস্থ্য থাকলেও স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ছাড়া ভালো চিকিৎসা দেয়নি বোনের জামায় জালাল।বাড়িতে বোনের(সেলিনা) মেয়ের বিয়ের তোড়জোড় চলছিলো,কাল-পরশু বিয়ের কথা আছে।তার আগেই গতকাল রাতে হঠাৎ শাসকষ্ঠ বেড়ে গেলে সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও কর্তব্যরত ডাঃ অনুপ বসু জানান,রোগীর অবস্থা আশংকাজনক ছিলো।আমাদের এখানে আসা মাত্র চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একটি অপমৃত্যু নামলা দায়ের সহ লাশ হস্তান্তরের জন্য মণিরামপুর থানা পুলিশের কার্যক্রম চলমান ছিলো।

