এস এম তাজাম্মুল,মণিরামপুরঃ খুশি মনে নিজের মেয়ের সদ্য ভূমিষ্ট শিশু সন্তানের(নাতী) মুখ দেখতে ব্যাক্তিগত মটর সাইকেলে যশোরের একটি হাসপাতালে যাচ্ছিলো মণিরামপুর পৌরশহরের মৃত মুক্তার হোসেনের বড় ছেলে মোঃ সেলিম হোসেন! যশোরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে তার আনন্দের মাঝে বেদনার ছায়া নামালো মণিরামপুর-যশোর সড়কের পতিমধ্য রাজারহাট মোড়ে পৌছালে তেলপাম্প মোড়ে বিপরীত দিক হতে আসা একটি ঘাতক ট্রাক।
তথ্যমতে,সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১২টার পরপরই যশোরের একটি হাসপাতালে অপারেশন পরবর্তী চিকিৎসারত মেয়ে ও সদ্য ভূমিষ্ট তার সন্তানের (নাতীর) মুখ দেখতে নিহত সেলিম নিজস্ব বাহক যোগে রাজারহাট তেলপাম্প মোড়ে পৌছালে বিপরীত দিক হতে আসা ঘাতক ট্রাকটি অনিয়ন্ত্রিত ভাবে মোটরসাইকেলকে সরাসরি চাপা দিলে ঘঠনাস্থলেই সেলিমের মৃত্যু হয়।তার ব্যাবহারিত মোটরসাইকেল (এভিএস) ভেংগে দ্বীখন্ডিত হয়ে যায় বলে জানান কয়েকজন প্রত্যাক্ষদর্শী।স্থানীয় এক চায়ের দোকানী জানান,মুড়লী দিক হতে আসা ট্রাঙ্কি ট্রাকটি তেলপাম্পের পার্শ ধরে বেআইনি ভাবে মণিরামপুর রোডে ক্রস করে,সে সময় মোটরসাইকেল ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যায়। ট্রাক ড্রাইভার তার বাম পাশ ধরে রাস্তা পরিবর্তন করলে এ দূর্ঘটনাটা হয়তো হতোনা।ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করেছে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
দূর্ঘঠনায় মৃত মোঃ সেলিম হোসেনের স্ত্রীর আহাজারি, সন্তানদের পিতা হারানোর আকুতিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পৌরশহরের মৃতের বাড়িতে। এখনো মাঝে মাঝে মৃত সেলিমের স্ত্রী কেঁদে কেঁদে উঠছে। মায়ের আকুতি দেখে সেলিমের সন্তান আর ছোট ভাই আলীম হোসেনও হতবাক!
পিতার পর নিজের বড় ভাইকে অকালে হারিয়ে অভিভাবকহীন এ পরিবারের ভবিষ্যতে ভাবনায় এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তের সন্তানের জন্য ক্ষতিপূরন দাবী করেছে মৃত সেলিমের ছোট ভাই মোঃ আলীম হোসেন।
পরিসংখ্যানের হিসাব বলছে,দৈনিক গড় মোতাবেক সড়ক দূর্ঘটনার অধিকাংশই ঘঠে গাড়ী চালকদের সেচ্চা চারিতা ও গাফিলতির কারনে। বড় বড় যান চালকেরা ছোট যানবাহন গুলোকে তাচ্ছিল্য করে অনায়াসে চাকা চালিয়ে দেই। তাতেই ছোট যানে থাকাদের জীবন নিয়ে যায় সংকটের সন্ধিক্ষণে। বিআরটিএ এবং সড়ক ও জনপদের আইন অমান্য করে দিন গেলেই সড়কে ঘঠে যাচ্ছে দূর্ঘটনা, বেড়ে বেড়ে চলেছে দূর্ঘটনায় মৃত্যুর হার।

