
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় প্রতিবেশি ফজলুর রহমান ফজু (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে দায়ী করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় কিছু মাতব্বর বিষয়টি আইনগতভাবে না তুলে শালিসে মীমাংসার জন্য পরিবারটির ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রায়পটন গ্রামের মৃত নুর আলীর ছেলে ফজু ওই কিশোরীর বাড়ির পাশেই থাকতেন। প্রতিবন্ধী পিতার মেয়ে হওয়ায় কিশোরীটি দীর্ঘদিন ধরে ফজুর বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করত এবং তাকে ‘দাদা’ বলে ডাকত। সম্প্রতি মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ করে পরিবারের সন্দেহ হয়। এরপর স্থানীয় একটি ক্লিনিকে পরীক্ষায় জানা যায়, মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী জানায়, ফজু নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল। সে-ই এ ঘটনার জন্য দায়ী। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ফজু পলাতক রয়েছেন।
অন্যদিকে, অভিযুক্তের স্ত্রী এ অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক অপবাদ। তাঁর কথায়, গ্রামের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরনো বিরোধের জেরে মেয়েটি এই মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা মেয়েটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আইনের আশ্রয় না নিয়ে সামাজিকভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিচ্ছি।”
তবে এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছেন ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবলুর রহমান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভুপালী সরকার জানান, তিনি বিষয়টি জেনেছেন এবং থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ন্যায়বিচার এবং সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।